বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরের খামারকান্দিতে এক স্কুল ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর ছলে নিজ কক্ষে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় কথিত প্রেমিক শাহীন আলম ও প্রাইভেট শিক্ষক আবু রায়হান তাজু’র বিরুদ্ধে বুধবার রাতে ছাত্রীর পিতা মামলা দায়ের করার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী গত ৩ বছর যাবত খামারকান্দি বাজার পাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে এবিসি কোচিং সেন্টারের মালিক শিক্ষক আবু রায়হান তাজু’র কাছে প্রাইভেট পড়ত। সেখানে পার্শ্ববর্তী জয়নগর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে শাহীন আলমও ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ত।
প্রাইভেট পড়ার এক পর্যায় গত ৫ মাস পূর্ব হতে সে ওই ছাত্রীকে মাঝে মধ্যেই কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতো। প্রতিদিনের ন্যায় গত ১ মার্চ ছাত্রীটি ওই প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়তে যায়। শিক্ষকের বাড়িতে কেউ না থাকায় তার শয়নকক্ষে ডেকে নিয়ে তারই সহায়তায় কথিত প্রেমিক শাহীন আলম অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে নগ্ন করে তাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে এবং ছবি ধারণ করে।
পরবর্তীতে সে ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি ইন্টারনেট ছেড়ে দেয়ার হুমকী দিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয় । এর এক পর্যায়ে লম্পটরা ওই ছাত্রীর নগ্ন ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে গোটা এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে গত বুধবার রাতে ওই ছাত্রী পিতা এনামুল হক বাদি হয়ে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)খান মোঃ এরফান বলেন, ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি আইনে ৮ ধারায় মামলা দিয়ে গ্রেফতারকৃত দু’জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত